Saturday, 10 December 2016

তুরস্কে বোমা হামলায় নিহত ২৯, আহত ১৬৬

তুরস্কে বোমা হামলা
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে একটি ফুটবল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর খেলার মাঠের কাছে বোমা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জনই পুলিশ সদস্য আর বাকি দু’জন বেসামরিক নাগরিক। 
শনিবারের ওই হামলার ঘটনায় আরো ১৬৬ জন আহত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সইলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
ওই বোমার হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সইলু জানিয়েছেন, বেসিকতাস ফুটবল স্টেডিয়ামের বাইরে প্রথমে গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়। 
ওই হামলার মাত্র ৪৫ সেকেন্ড পরেই মাকা পার্কের কাছে আরো একটি হামলা চালানো হয়। এক আত্মঘাতি পার্কে থাকা পুলিশ সদস্যদের মাঝখানে গিয়ে নিজেকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়। 
সইলু জানান, প্রশাসনের ধারণা পরপর দু’টি হামলার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে।  
ওই হামলার পেছনে কে বা কারা দায়ী সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে চলতি বছর ইস্তাম্বুল এবং অন্যান্য শহরে বেশ কিছু ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং কুর্দিশ যোদ্ধারা। ...প্রতিদিনের সংবাদ

Thursday, 1 December 2016

জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের ছয় খুদে বিজ্ঞানী

বাংলাদেশের ছয় খুদে বিজ্ঞানী
ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিজ্ঞানের মহাযজ্ঞ ১৩তম আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে অংশ নিচ্ছে ছয়জন খুদে বিজ্ঞানী।

অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন-ফারদিম মুনির (স্যার জন উইলসন স্কুল অ্যান্ড কলেজ), তাহমিদ মোসাদ্দেক (নটরডেম কলেজ), এ কে এম সাদমান মাহমুদ আবির (পাবনা জিলা স্কুল), নিহাল জুহায়ের পরশ মিয়াজী (কুমিল্লা জিলা স্কুল), আহমেদ নাফিস ফারহান (নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) ও মিরাজ আহমেদ সাদি (বিএফ শাহীন ইংলিশ স্কুল )।

এই ছয় প্রতিযোগীর দলনেতা হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মাদী, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহকারী একাডেমিক কো অর্ডিনেটর মো. জুনায়িদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট অফিসার মো. মোরশেদ আলম।

আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ১৩তম আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড ২০১৬।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে খুদে এ বিজ্ঞানযোদ্ধাদের সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী খুদে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন ও জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. রেজাউর রহমান, আল–আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী তৌহিদুল আলম, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ বায়েজিদ ভূইয়া জুয়েলসহ অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে। পরে বিজয়ীদের মধ্য থেকে ক্যাম্পের মাধ্যমে ৬ জন খুদে বিজ্ঞানযোদ্ধাকে নির্বাচিত করা হয়। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি - এর আরো খবর

কোন পথে এগোবে বাংলাদেশ?

বাংলাদেশ ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থের বাকি চার-পঞ্চমাংশ ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ফেরত দেবে না—ব্যাংকটির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্ক উঠেছে। অর্থ ফেরত না দিতে ওই ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকটির কোনো দায় নেই।
এ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করায় নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। রিজল ব্যাংক বলছে, চুরির পক্ষে কোনোই যুক্তি দিতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে অর্থ উদ্ধারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার বিষয়টি যেমন সামনে চলে এসেছে, তেমনি এখন পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় প্রশ্ন উঠেছে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও। রিজল ব্যাংক বলছে, কারা চুরি করেছে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকেই বের করতে হবে।
এর ফলে রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থের সিংহভাগ অংশ ফেরত পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে এলো। চুরি হয়ে ফিলিপাইনে চলে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি ডলার এরই মধ্যে ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাকি ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার আদৌ ফেরত পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া রিজল ব্যাংক বিবৃতিতে চুরির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য বাংলাদেশের নিজস্ব তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করতেও বলেছে। ফলে অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ সঠিক ছিল কি না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। একই সঙ্গে রহস্যজনক কারণে প্রকাশ করতে না চাওয়া এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে কী রয়েছে, কেনইবা সরকার তা প্রকাশ করতে চাইছে না—এমনতর নানা প্রশ্ন খুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
দেশের অর্থনীতিবিদরা এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রিজল ব্যাংক অর্থ ফেরত না দেওয়ার ব্যাপারে যেসব যুক্তি তুলে ধরেছে, সেগুলোর কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে তারা অর্থ আদায়ে সরকারকে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন। একই সঙ্গে অর্থ আদায়ে নেওয়া পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ারও সমালোচনা করেছেন তারা।
তবে আরসিবিসির এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন বর্তমানে ফিলিপিনে সফররত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত মঙ্গলবার সেখানকার একটি গণমাধ্যমে আরসিবিসির অর্থ ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানোর খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই ফিলিপাইনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, রিজল ব্যাংক রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল। নিজেদের দায়ও তারা স্বীকার করেছে। সিনেট কমিটিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরসিবিসির উচিত বাংলাদেশের টাকা ফেরত দেওয়া। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, আরসিবিসির আইনজীবী এ ধরনের কথা বলেছেন বলে শুনেছি। আইনজীবীরা এ ধরনের কথা বলতেই পারেন। তবে রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থের বাকি অংশ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে চুরি যায় মোট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর মধ্যে শ্রীলংকা থেকে ২ কোটি ডলার উদ্ধার সম্ভব হলেও ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের বড় অংশেরই এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কী বলছে রিজল ব্যাংক : বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের বাকি চার-পঞ্চমাংশ ফেরত দেবে না জানিয়ে আলোচিত ওই ঘটনার জন্য উল্টো বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দায়ী করেছে ফিলিপিনের আরসিবিসি। এমনকি চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো দায় নেই বলেও মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গত ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেমে ভুয়া পরিশোধ অর্ডার পাঠিয়ে নিউইয়র্ক রিজার্ভ ব্যাংক থেকে চুরি করা প্রায় দশ কোটি ডলারের মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ রিজল ব্যাংকের একটি শাখা হয়ে জুয়ার বাজারে চলে যায়। এর মধ্যে এক ক্যাসিনো মালিকের ফেরত দেওয়া দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ডলার ফেরত পাওয়ার জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বর্তমানে ফিলিপাইন সফরে রয়েছে।
রিজলের আইনজীবী থিয়া দায়েব ওই বিবৃতিতে বলেন, ওই চুরির কারণ আরসিবিসি নয়। অবহেলা যদি কারও থেকে থাকে, তবে তা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। সুতরাং আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে ফিলিপিন্স সরকারের কাছে স্পষ্ট হতে বলব; কারা ওই চুরি করেছে তা বাংলাদেশ ব্যাংককেই বের করতে হবে। সুইফট, নিউইয়র্ক ফেড ও তিনটি গ্লোবাল ব?্যাংকের সুরক্ষিত তিন স্তর পেরিয়ে ওই অর্থ রিজলে পৌঁছায় এবং সেখানে রিজলের কোনো ভূমিকা ছিল না।
ম্যানিলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ বাকি অর্থ আদায়ের জন্য গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ‘অন্যায্যভাবে’ ফিলিপিন্স সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন বলেও আরসিবিসির অভিযোগ।
কোন পথে যাবে বাংলাদেশ : প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কি স্বীকার করবে যে তারা অভিযুক্ত। তাদের স্বীকার করাতে হবে সে দেশে মামলা হয়েছে। আদালত টাকা ফেরত দিতেও বলেছে। সুতরাং টাকা ফেরত দিতে তারা আইনত বাধ্য। যেহেতু সে দেশের প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনি। সুতরাং সমঝোতার মাধ্যমে এটি হবে বলে মনে হয় না। এজন্য আমাদের আইনি পথেই যেতে হবে। সেখানে কিংবা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে পারি। রিজল ব্যাংক টাকা দিতে বাধ্য। তবে চাপে রাখতে হবে। কারণ আমরা আর্গুমেন্টে এগিয়ে রয়েছি। অর্ধেক টাকা দিতে পারে না। দিলে পুরোটা দিতে হবে।
কিন্তু তারা অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক চুরির ঘটনায় দায়ী—এ ব্যাপারে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এ নিয়ে আমাদের দেশেও কাঁদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষও লুকোচুরি খেলেছে। সুতরাং সন্দেহ হতেই পারে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোকজনের জড়িত থাকা সম্ভব নয়। তাদের ব্যর্থতা থাকতে পারে।
রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ জায়েদ বখত বলেন, রিজল ব্যাংকের যুক্তি সঠিক নয়। কারণ মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ি, কোন ব্যাংকে বড় পরিমান অর্থের চেক গেলে অবশ্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে, সেটি হোক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি, ফোন দিতে হবে। যতক্ষণ না প্রকৃত মালিকের থেকে কোন সদুত্তর পান, ততক্ষন পর্যন্ত তা এ অর্থ দিতে পারে না। কিন্তু তারা সেটি করেনি। তার মানে আইন লঙ্ঘন করেছে। সুতরাং আন্তর্জাতিক অর্থ আইন অনুযায়ি রিজল ব্যাংক এ টাকা দিতে বাধ্য।
কিন্তু তারা তো বলেছে, টাকা দেবে না, তা হলে অর্থ আদায়ে পথ কী—জানতে চাইলে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, দুটি পথ ছিল। একটি সমঝোতা, অন্যটি আইনের মাধ্যমে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করায় আপাতত সমঝোতার পথ বন্ধ বলেই মনে হচ্ছে। আর সেখানে মামলা করেও কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না। সুতরাং এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে ফিলিপাইন অন্যায়ভাবে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত দিচ্ছে না। এসব সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সে দেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
এই চুরির ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক দায়ী বলে রিজল ব্যাংক যে মন্তব্য করেছে, সে ব্যাপারে এই গবেষক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু লোকজনের কিছু সন্দেহজনক কাজকর্ম ও কথাবার্তার কারণে রিজল ব্যাংক এ দাবি করেছে। এর জন্য আমরাই দায়ী। কারণ টাকা চুরির ঘটনা এত পরে জানতে পারাটাই সন্দেহের মূল কারণ। তা ছাড়া অর্থ আদায়ে বা এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে আমাদেরও গাফিলতি ছিল। আমরা সময়মতো জানতে পারিনি।
তবে ‘চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পেতে এখন কেবল সমঝোতার পথই খোলা রয়েছে’ বলে মত দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, দুটি পথে এগোতে পারে বাংলাদেশ। একটি আইনী পথে, অন্যটি সমঝোতার পথে। কিন্তু আইনি পথে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না, যুক্তিযুক্তও হবে না। আবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করায় অপাতত সমঝোতার পথটিও বন্ধ। তবে শেষ পর্যন্ত এই সমঝোতার পথেই এগোতে হবে বাংলাদেশকে। এই পথই ভালো হবে। এ অর্থ আদায়ে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। যতগুলো পথ আছে সবগুলো ব্যবহার করতে হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে রহস্য : বাংলাদেশ ব্যাংককে তাদের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করে সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। গত মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের তৈরি করা এ-সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ না করায় কমিটির বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শওকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রতিবেদন তাদের কাছে নেই। অর্থমন্ত্রীর কাছে আছে। তিনি সেটা প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গত ৩০ মে তদন্ত রিপোর্ট অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই বলা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ‘এই মুহূর্তে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন।
অর্থনীতিবিদরা তদন্ত প্রতিবেদনে গড়িমসির সমালোচনা করেছেন। এ ব্যাপারে প্রবীন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়া হলো। সেখানে কিছু লোকজনকে দায়ী করা হলো। পরে দ্বিতীয় দফায় চুড়ান্ত রিপোর্ট দিলেন এবং তদন্ত কমিটির প্রধান বললেন ৯০ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন- প্রতিবেদন সম্প্রসারণ হতে পারে, পরিবর্তন নয়। এমনটি আশা করিনি। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা উচিত। কী লিখেছেন সেখানে, তা জানা উচিত।
এ ব্যাপারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে অসুবিধা কোথায়, তা বোধগম্য নয়। এমন হতে পারে এই প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে চুরি যাওয়া অর্থ আদায়ে কোন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই সরকার সেটি প্রকাশ করছে না। কিন্তু এ কথাও ঠিক যে, প্রতিবেদন প্রকাশ না করে আরো জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। নানা ধরনের সন্দেহ ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গা থেকে অবশ্যই এটি প্রকাশ করা উচিত। হতে পারে কিছু সময় লাগবে। কিন্তু সময়ের বিবেচনায় এটি প্রকাশ করতেই হবে। অর্থ ও বাণিজ্য - এর আরো খবর


প্রতি দশ মিনিট পর পর ভ্রূণের গঠন দেখা যাবে

ভ্রূণের গঠন
এবার ভ্রূণ গঠনের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই তা দেখার সুযোগ হচ্ছে মা-বাবা। ভ্রূণ কয়েকটি কোষে থাকা অবস্থায় তার ছবি দেখানো হছে লন্ডনে। যুগান্তকারী ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) টেকনোলজিতে মা-বাবার জন্য এ সুবিধা নিয়ে আসা হচ্ছে। আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) বা টেস্টটিউব পদ্ধতি হচ্ছে মানবদেহের বাইরে গর্ভ ধারণ করার পদ্ধতি।
সাম্প্রতিক সময়ে আইভিএফ ক্লিনিকগুলোতে ভ্রূণ বিকাশের সময় প্রথম কয়েক দিনের কোষের বৃদ্ধির ছবি দেখার সুবিধা করা হয়েছে। এতে চিকিৎসকেরা সবচেয়ে সবল ভ্রূণটি বেছে নিয়ে গর্ভে প্রতিস্থাপন করেন। এতে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ে। এ পদ্ধতিতে সন্তানের জীবনের একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে দেখার সুযোগ পান মা-বাবা।
সম্প্রতি লন্ডনের কিছু ক্লিনিকে ভ্রূণের লাইভ ফুটেজ দেখার সুবিধা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে। এতে ল্যাবে থাকা অবস্থায় অনাগত সন্তানের ভ্রূণের বেড়ে ওঠার দৃশ্যটিই সরাসরি দেখতে পান মা-বাবা।
লিভারপুলের হিউট ফার্টিলিটি সেন্টারের কর্মকর্তা চার্লস কিংসল্যান্ড বলেন, ‘টাইমল্যাপস টেকনোলজির মাধ্যমে সন্তান জন্মের একেবারে প্রথম দিন থেকে ছবি তোলা যায় এবং তা ইউএসবি স্টিকের মাধ্যমে মা-বাবার সামনে হাজির করা যায়। এর আগে মা-বাবাকে সন্তানের বেড়ে ওঠার বিষয়টি জানতে ক্লিনিকে ফোন করতে হত কিন্তু এখন থেকে তার আর প্রয়োজন পরবে না।
কিংসল্যান্ড বলেন, ভ্রূণ অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আগে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ভ্রূণের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যেত। এখন প্রতি ১০ মিনিট পরপর ভ্রূণের ছবি তোলা যায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - এর আরো খবর

Wednesday, 16 November 2016

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

খালেদা জিয়ার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার দিনে জন্মদিন পালন বন্ধের আর্জি জানিয়ে করা মামলায় আদালতের সমনে হাজির না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ হয়েছে। সাবেক এক সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতার দায়ের করা এ মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।  
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম গত ৩০ অগাস্ট এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই আদালত মামলা আমলে নিয়ে বেগম জিয়াকে ১৭ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সেদিন আদালতে না যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী। সেই আবেদনের শুনানি করেই বিচারকগ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে বলে বাদীর আইনজীবী দুলাল মিত্র জানান।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, বঙ্গবন্ধুকে ‘হেয় করতেই’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করে আসছেন।
মামলা দায়েরের সময় আইনজীবী দুলাল মিত্র বলেছিলেন, দণ্ডবিধির ৪৬৯ ধারায় করা মামলার আবেদনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মেশিন রিডেবেল পাসপোর্টের ফটোকপি, বিয়ের কাবিননামা, এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার মার্কশিট এবং ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত খালেদা জিয়ার জীবনবৃত্তান্ত-সংক্রান্ত একটি কাটিং আদালতে জমা দিয়েছেন তারা। এ মামলার আর্জিতে কয়েকজন সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।